কিভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ নিবেন
বাংলাদেশের প্রায় ১০ কোটি নাগরিককে পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনতে সরকার একটি সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প চালু করেছে।
এই সুবিধা পাওয়া যাবে চারটি স্কিমে। পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর থেকে পেনশন প্রদান করা শুরু হবে।
আমাদের সর্বশেষ আপডেট পেতে Google News এ Follow করুন।
পেনশন প্রকল্পের নির্ধারিত চারটি স্কিম হল প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ''প্রবাস'', বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী--প্রতিষ্ঠানের জন্য ''প্রগতি'', স্বাবলম্বী বা নিজস্ব ব্যবসা কর্ম ও অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মীদের জন্য ''সুরক্ষা'' এবং নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য ''সমতা''।
এই স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে (www.upension.gov.bd) প্রবেশ করে পেনশনভোগী হিসেবে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করতে, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডিসহ বিস্তারিত ইনফরমেশন দিতে হবে।
এছাড়াও, এই পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য সুবিধাভোগীকে প্রতিমাসে চাঁদা জমা দিতে হবে। মাসিক চাঁদার পরিমাণ ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত। আর এই পেনশন সুবিধা পেতে হলে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা জমা দিতে হবে।
পাস হওয়া 'সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিল-2023' অনুসারে, ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল নাগরিকের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরে নির্ধারিত হারে চাঁদা জমা দেওয়ার বিপরীতে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন। এছাড়াও, বিশেষ বিবেচনায়, ৫০ বছরের বেশি বয়সীরা ১০ বছর চাঁদা জমা দিয়ে পেনশন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। পেনশনভোগীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত বিবেচনা করা হয়।
আমাদের সর্বশেষ আপডেট পেতে Google News এ Follow করুন।
কিন্তু পেনশন পাওয়া শুরু করার পর পেনশন ভোদীর বয়স ৭৫ বছর হওয়ার আগে কেউ মারা গেলে, তার মনোনীত ব্যক্তি বা নমিনি মাসিক পেনশন পাওয়ার অধিকারী হবেন। এছাড়াও, চাঁদা ১০ বছর জমা দেয়ার আগে গ্রাহক মারা গেলে, তার জমাকৃত টাকা মুনাফা সহ তার নির্ধারিত নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে সমস্ত নাগরিকদের পেনশনের আওতায় আনতে ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে সংসদ 'সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩' পাস করা হয়েছিল।